এবার ভারত থেকে আমদানি করা নতুন আলু উঠেছে দিনাজপুরের বিভিন্ন বাজারে। পাইকারিতে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরায় এটি সর্বোচ্চ ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আজ সোমবার ৬ নভেম্বর সকালে জেলা শহরের বাহাদুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকা কেজি দরে।
আবার জাত ভেদে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে আলু। আর ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। তবে কয়েকজন বিক্রেতাকে ভারতীয় নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। তারা এসব আলু কেজি প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। বাহাদুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, এ আলু ঢাকা থেকে দিনাজপুরের বাজারে এসেছে। সোমবারই প্রথম বাজারে উঠেছে।
এদিকে সোবেজ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতারা শখ করে এতো দাম নিয়ে ভারতীয় নতুন আলু কিনছেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় আড়াইশ গ্রামের বেশি কেউ কিনছেন না। নুর ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, নতুন আলু ও পেঁয়াজ পাতা এক পোয়া (আইশ গ্রাম) করে কিনেছি। মৌসুমের নতুন সবজি মুখে দিলে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাবে। তাই দাম বেশি হলেও কিনেছি।
বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে ২ নভেম্বর ভারত থেকে ১৯০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করে সরকার। এসব আলু সাতটি ট্রাকে দিনাজপুরের হিলি হয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে ঢোকে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা আলুগুলো গত মৌসুমের। ফলে এগুলোর দাম তুলনামূলক কম। চলতি মৌসুমের নতুন যেসব আলু বাজারে এসেছে, সেগুলোর দাম বেশি।
গত বছরের নভেম্বরে দিনাজপুরের রেলওয়ে বাজারে ভারতীয় নতুন আলু কেজি প্রতি ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে কম আমদানি হওয়ায় এ আলুর দাম বেশি থাকে। এদিকে সোমাবার সকালে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ পাতা নিয়ে আসেন কয়েকজন কৃষক। সেই পাতা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজ পাতা বাজারে প্রথম এসেছে। ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি।